নির্বাচন ভবনে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় ও মাঠ দফতরগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

আর মাঠ কার্যালয়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

সভায় আলোচনা হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করাসহ নিজস্ব জনবলকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা প্রয়োজন। ভবনের বেইজমেন্টে যাতে কোনো অনাকাঙিক্ষত লোকজন প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।

এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে আঞ্চলিক, সিনিয়র জেলা ও উপজেলা কার্যালয় হতে পত্র দেওয়া যেতে পারে এবং অনিষ্পন্ন কাজ যথাযথভাবে নিষ্পন্ন করার কথা তোলা হয় আলোচনায়।

অন্যদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে কাজ করতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার, চলাফেরা ও কথাবার্তায় সর্তকর্তা অবলম্বনের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।

এতে সর্ব সম্মতিক্রমে নির্বাচন ভবন ও মাঠ কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম দায়িত্ব দেন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা-১ এর যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খানকে।

নির্দেশনায় ইসি সচিব বলেনে, অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসাবে নির্বাচন ভবনে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণসহ অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রপাতির ব্যবহারের প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত অগ্নি নির্বাপন মহড়ার আয়োজন করতে হবে। একই ভাবে মাঠ পর্যায়ের অফিসের নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কর্তৃক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর টিঠি ইস্যু করতে হবে।

নির্বাচন ভবনের সামনের অংশটি এখন বিনোদন স্পষ্ট হিসেবে নগরবাসীর পছন্দের তালিকায় রয়েছে। সারাদিন নানা মানুষের আনাগোনা থাকলেও বিকেল থেকেই সেটা আরো বেড়ে যায়। আর মাঠ কার্যালয়গুলোতে সার্ভারসহ নানা সরঞ্জাম রয়েছে, যেখানে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।