বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর উপলক্ষে কৃষক লীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৫০তম বছর আজ। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুর হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পদক তুলে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৫০তম বছর উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ ও সারা বাংলার কৃষক সমাজের পক্ষে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শান্তির অন্বেষণে নিবেদিত প্রাণ। তিনি তাঁর সারা জীবন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যয় করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির শান্তির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের কৃষকর সমাজ ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী মনে করেন, যত দিন রবে শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবেনা বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এর মাত্র দুই বছর পরে বিশ্বশান্তি পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে।

বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বিশ্বের ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন, আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদক প্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে।

আর পরের বছর ২৩ মে, এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তত্কালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র। সেই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।’ স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।

বঙ্গবন্ধু এই পদকপ্রাপ্তির আগে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, ভিয়েতনামের সংগ্রামী নেতা হো চি মিন, চিলির গণ-আন্দোলনের নেতা সালভেদর আলেন্দে, ফিলিস্তিনের জনদরদি নেতা ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ এই পদকপ্রাপ্ত হন। মূলত সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তারা এই পদকে ভূষিত হয়ে আসছিলেন। ১৯৫০ সাল থেকে এই পদক প্রদান করা হয়।