বঙ্গবন্ধুর নামে শান্তি পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শান্তি পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জুলিও কুরি শান্তি পদক পেয়েছেন। আজীবন তিনি শান্তির বাণী শুনিয়ে গেছেন। একটি প্রস্তাব এসেছে যে, বাংলাদেশ থেকে শান্তি পুরস্কার দেওয়ার..। যারা সারা বিশ্বে ও দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন, তাদেরকে আমরা সম্মানিত করবো। আমরা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শান্তি পুরস্কার’ দেবো। আমরা শান্তি চাই, শান্তির পথেই এগিয়ে যাবো।

রোববার (২৮ মে) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পুরস্কার (জুলিও কুরি শান্তি পদক) পেয়েছেন, শান্তির বাণী শুনিয়েছেন। কিন্তু তাকে জীবনটা দিতে হয়েছে। আমরা আর অশান্তি চাই না, সংঘাতও চাই না। শান্তি চাই, মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর একের পর এক সামরিক অভ্যুত্থান হয়। রাজনৈতিক নেতা, সামরিক বাহনীর কর্মকর্তাসহ অনেককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এমন অশান্ত পরিবেশে দেশের মানুষকে ২১ বছর কাটাতে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আমরা প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে উন্নয়নমূলক কাজ করতে শুরু করি। মাঝে আবারও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, দুর্নীতি, অর্থপাচার করে দেশটাকে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজমান। এজন্যই আজকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষের উন্নয়ন কাজ করেছি। এজন্য দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। সাক্ষরতার হার বেড়েছে, আয়ুষ্কাল বেড়েছে। মাতৃমৃত্যুহার কমাতে পেরেছি।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মার্যাদা নিয়ে চলবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেই আমরা অর্জনগুলো করেছি। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে; যেহেতু ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ছিল, সেজন্য এ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। স্থিতিশীল পরিবেশের কারণেই এত অর্জন সম্ভব হয়েছে। শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীল পরিবেশ মানুষের অথনৈতিক মুক্তির সহায়ক। এ কথাটা সবসময় মনে রাখতে হবে।’