প্রধানমন্ত্রী চাইলে নির্বাচনকালীন ছোট সরকার গঠন করবেন বলে অভিমত দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার (৪ জুন) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হল রুমে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিমত দেন।
সেমিনার হলরুমে দুর্নীতির মামলা বিচারকার্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিচারকদের জন্য আয়োজিত “১৫০তম রিফ্রেশার কোর্স” অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে আইনমন্ত্রী বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তিতে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করবেন নির্বাচনকালীন সময়ে তিনি একটি ছোট সরকার করতে চান, এই সময়ে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তার পরে তিনি তার সরকার গঠন করবেন। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতা নেই। কারণ প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই বলে দিয়েছেন নির্বাচনকালীন সরকারের কথা। নির্বাচনকালীন সরকারের কারা কারা থাকতে পারেন এই রূপরেখা তিনি দিয়ে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, প্রশিক্ষণ ব্যক্তিকে শানিত করে। প্রশিক্ষণ অনেক বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং ভুলে যাওয়া অনেক বেশি মনে করিয়ে দেয়। পৃথিবীর সব দেশেই দুর্নীতি আছে, তবে মাত্রায় পার্থক্য আছে।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য যেহেতু অভিন্ন সে কারণে প্রশিক্ষণ ভালো ভূমিকা রাখবে। আমাদের প্রলোভন থেকে মুক্ত থাকতে হবে। নিজের দায়িত্বের বাইরে গিয়েও পারিবারিক সামাজিক জীবনেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভূমিকা রেখে যেতে হবে। দুর্নীতির মামলা প্রমাণ করে চার্জশিট দেওয়া অনেক কঠিন। তারপরেও আমাদের কাজ করে যেতে হবে একসাথে।