লিটনকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় আ. লীগ নেতা বহিষ্কার

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে নৌকার মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় নগরীর ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শংকর ঘোষকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালু ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (৯ জুন) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নগরীর বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালু বলেন, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ও কুরুচিপূর্ণ রটনা ছড়ানোর অভিযোগে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শংকর ঘোষকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য মহানগর কমিটিকে সুপারিশ করা হয়েছে।

এদিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে মেয়রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, খায়রুজ্জামান লিটনকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শংকর ঘোষ মেয়রপ্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে আসছেন। শংকর ঘোষের এমন অশোভন আচরণে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এছাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল পদে থেকে এসব অশোভন মন্তব্য দলের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থীও বটে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় শংকর ঘোষকে সাংগঠনিকসহ দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত স্থানীয় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শংকর ঘোষের কুমারপাড়ার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা তার বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে। এ সময় শংকর ঘোষ বাড়ি থেকে পালিয়ে কোনো রকমে রক্ষা পান। পরে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা সটকে পড়েন।