মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা না করায় ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের আইনজীবীরা।
শনিবার রাজধানীর কাওরানবাজারে বিএসইসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তার আইনজীবীরা এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র তাপসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বলেন, গত ৫ জুন ডেইলি স্টারকে আমরা লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই। নোটিশে আমরা বলেছিলাম, মেয়র তাপসকে নিয়ে মানহানিকর লেখা অনলাইন থেকে রিমুভ করতে হবে। একইসঙ্গে ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
তিনি বলেন, ডেইলি স্টার অনলাইন থেকে ওই লেখা রিমুভ করেছে ঠিকই। তারা নিঃশর্ত ক্ষমা চাননি। শুধু বলেছেন, লেখার কারণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ডেইলি স্টার তাদের লেখা ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেছেন। শুধু দুঃখ প্রকাশ যথেষ্ট নয়। ডেইলি স্টারকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা প্রার্থনা না করলে ১৩ জুনের পর ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করব।
সংবাদ সম্মেলনে তাপসের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার খোন্দকার রেজা-ই রাকিব, ব্যারিস্টার খোন্দকার রেজা-ই রাব্বী, ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর।
এর আগে, গত ৫ জুন মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ তিনজনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। নোটিশে ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। অন্য দুইজন হলেন, ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও সংশ্লিষ্ট লেখক নাজিবা বাশার। ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের পক্ষে ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইনে থাকা রিপোর্ট অপসারণ এবং সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, ডেইলি স্টার পত্রিকা ও অনলাইনে ভার্সনে রিপোর্ট বা কলাম লেখেন। কলামের লেখাটা ছিল ‘বাতাস প্রবাহের জন্য গাছ কর্তন’, আরেকটি টাইটেল ছিল যেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নামকে বিকৃতি করে লিখেছেন, ‘ধোকা সাউথ টাউন কর্পোরেশন’ পরিবেশবাদীর চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছে। শুধু তাই নয় মেয়র ফজলে নূর তাপসের নামকে বিকৃতি করে লেখা হয়েছে।
এমনকি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সম্পর্কে একটা জঘন্য মন্তব্য করেছেন ‘উত্তরের মেয়র কুৎসিত জিনিস পছন্দ করেন, তারা নরকে পচে মরবে গাছ ও বাতাসের অভাবে। এ ধরনের বক্তব্যগুলো আমাদের প্রচলিত ফৌজদারি আইন অনুযায়ী মানহানির পর্যায়ে পড়ে। এই রিপোর্ট দেখে মেয়র আমাকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। তার আলোকে আমরা নোটিশ পাঠিয়েছি।
নোটিশে আমরা দুটি জিনিস চেয়েছি, একটি হলো অনলাইনে ভার্সনে থাকা লেখা অপসারণ এবং একটা বিবৃতি দিতে। পাশাপাশি ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য।