ঈদুল আজহা শেষে রাজধানীতে যারা ফিরে আসবেন তাদের জন্য ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামীকাল বুধবার (২১ জুন) থেকে। আন্তঃনগর ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
৬ দিনব্যাপী এই টিকিট বিক্রি কার্যক্রম বুধবার সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ই-টিকিটিং ওয়েবসাইট ও রেলসেবা অ্যাপে শুরু হবে। এবার অঞ্চলভেদে দুই শিফটে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ফিরতি টিকিটের মধ্যে ২ জুলাইয়ের টিকিট ২২ জুন, ৩ জুলাইয়ের টিকিট ২৩ জুন, ৪ জুলাইয়ের টিকিট ২৪ জুন, ৫ জুলাইয়ের টিকিট ২৫ জুন, ৬ জুলাইয়ের টিকিট ২৬ জুন বিক্রি হবে। এছাড়া যেহেতু ২৯ জুন ঈদ হবে, তাই ১ জুলাইয়ের টিকিট ২১ জুন বিক্রি করা হবে।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আগেই জানিয়েছেন, এবারও ঈদে ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে। তবে ২টি শিফটে এই টিকিট বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হবে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট এবং দুপুর ১২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের টিকিট। এবার ঈদে ঢাকা থেকে বহির্গামী আন্তঃনগর ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা হবে ২৯ হাজার।
ঈদে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন যখন যেখান থেকে ছাড়বে
তিনি আরও জানান, এবারও শতভাগ টিকিট অনলাইনে দেওয়া হবে। টিকিট যার ভ্রমণ তার এই নীতি মেনেই ভ্রমণ করতে হবে। ঈদ যাত্রা অগ্রিম টিকিট রিফান্ড/ফেরত দেওয়া যাবে না। ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিটও অনলাইনে দেওয়া হবে। একজন যাত্রী শুধুমাত্র ঈদের আগে একবার এবং ঈদের পরে একবার করে টিকেট নিতে পারবেন। একজন যাত্রী একটি আইডি দিয়ে ৪টি টিকেট নিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে যাত্রীর সঙ্গে থাকা বাকি ৩ সহযাত্রীর বিবরণ টিকিটে উল্লেখ করতে হবে।
সকাল ৮টায় যেসব ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে
একতা এক্সপ্রেস (৭০৫/৭০৬), করতোয়া এক্সপ্রেস (৭১৩/৭১৪), কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস (৭১৫/৭১৬), সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫/৭২৬), রুপসা এক্সপ্রেস (৭২৭/৭২৮), বরেন্দ্র এক্সপ্রেস (৭৩১/৭৩২), তিতুমীর এক্সপ্রেস (৭৩৩/৭৩৪), সীমান্ত এক্সপ্রেস (৭৪৭/৭৪৮), লালমনি এক্সপ্রেস (৭৫১/৭৫২), সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (৭৫৩/৭৫৪), মধুমতী এক্সপ্রেস (৭৫৫/৭৫৬), দ্রুতযান এক্সপ্রেস (৭৫৭/৭৫৮), পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৫৯/৭৬০), সাগড়দাড়ি এক্সপ্রেস (৭৬১/৭৬২), চিত্রা এক্সপ্রেস (৭৬৩/৭৬৪), নীলসাগর এক্সপ্রেস (৭৬৫/৭৬৬), দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস (৭৬৭/৭৬৮), ধুমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯/৭৭০), রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১/৭৭২), সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৭৫/৭৭৬), ঢালারচর এক্সপ্রেস (৭৭৯/৭৮০), টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস (৭৮৩/৭৮৪), বনলতা এক্সপ্রেস (৭৯১/৭৯২), পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (৭৯৩/৭৯৪), বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫/৭৯৬), কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (৭৯৭/৭৯৮), বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস (৮০৩/৮০৪) এবং চিলাহাটি এক্সপ্রেস (৮০৫/৮০৬)।
দুপুর ১২টায় যেসব ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে
সুবর্ণ এক্সপ্রেস (৭০১/৭০২), গোধূলি/প্রভাতী এক্সপ্রেস (৭০৩/৭০৪), তিস্তা এক্সপ্রেস (৭০৭/৭০৮), পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯/৭১০), উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১/৭১২), জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস (৭১৭/৭১৮), পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭১৯/৭২০), মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১/৭২২), উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৩/৭২৪), মেঘনা এক্সপ্রেস (৭২৯/৭৩০), অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫/৭৩৬), এগারোসিন্ধুর প্রভাতী এক্সপ্রেস (৭৩৭/৭৩৮), উপবন এক্সপ্রেস (৭৩৯/৭৪০), তূর্ণা এক্সপ্রেস (৭৪১/৭৪২), ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস (৭৪৩/৭৪৪), যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৫/৭৪৬), এগারোসিন্ধুর গোধূলি এক্সপ্রেস (৭৪৯/৭৫০), কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩/৭৭৪), হাওড় এক্সপ্রেস (৭৭৭/৭৭৮), কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮১/৭৮২), বিজয় এক্সপ্রেস (৭৮৫/৭৮৬), সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৭/৭৮৮), মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮৯/৭৯০), জামালপুর এক্সপ্রেস (৭৯৯/৮০০) এবং চট্টলা এক্সপ্রেস (৮০১/৮০২)।