আমরা চাই দেশের জনগণের সমর্থন: কৃষিমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি বলছে এ সরকারের প্রতি বিদেশিদের সমর্থন নেই, দেশের মানুষের সমর্থন নেই। বিদেশিদের সমর্থন দরকার নেই আমাদের। আমরা চাই দেশের জনগণের সমর্থন। জনগণ এদেশের মালিক। জনগণ নির্ধারণ করবে আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন আছে কি না। সেটা নির্বাচনে প্রমাণ হবে।

শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর অডিটোরিয়ামে শিক্ষক ফেডারেশনের আত্মপ্রকাশ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা আবার দেশটাকে উত্তাল করতে চায়। সংবিধানের আলোকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যারা বিদেশিদের কাছে হাত পাতছেন, তাদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন, তাদের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও অনেক বিদেশি শক্তি আমাদের বিরুদ্ধে ছিল। সেই সময় দেশের জনগণ আমাদের পক্ষে ছিল।

তিনি বলেন, এ সরকার নির্বাচিত সরকার। এ সরকার জনগণের সরকার। জনগণের জানমাল, সম্পদ ও নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৪/১৫ এর মতো আর তাণ্ডব চালাতে দেব না বিএনপিকে। মানুষকে জীবন্ত হত্যা করবেন, পুলিশের গাড়িতে আগুন দেবেন তা হবে না এখন। বর্তমান সরকার এগুলোকে প্রতিহত করতে পারে।

তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি তারা আবার দেশটাকে উত্তাল করতে চাচ্ছে। তারা ১৪ সালে যে তাণ্ডব চালিয়েছে সে রকম আর তাণ্ডব চালাতে পারবে না। পুলিশকে হত্যা করবেন, পুলিশের গাড়িতে আগুন দেবেন তা হবে না। বর্তমান সরকার দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে, উন্নয়ন করেছে, জনগণ সরকারের সঙ্গে রয়েছে, জনগণকে নিয়ে আমরা প্রতিরোধ করবো।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক বেশি সুশৃঙ্খল, অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে, অনেক বেশি সংগঠিত। তাদের দায়িত্ব বর্তমান সরকারকে নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তারা সে সক্ষমতা রাখে। তারা কোনো রাজনৈতিক অশ্লীলতা সৃষ্টি করতে পারবে না।

এ সময় মধুপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. আবু হাদী নুর আলী খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিন, মধুপুর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ইয়াকুব আলী প্রমুখ।