স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আপনারা হলেন সরকারের উন্নয়নের চিত্র জনগণের কাছে পৌঁছানোর আসল মাইক। মানুষ আপনাদের কথা শুনে এবং বিশ্বাস করে। মানুষের কাছে সরকারের বার্তা পৌঁছানোর জন্য আপনারা সেতুবন্ধন রচনা করেন। আজকে যে দেশটি পরিবর্তন হয়ে গেছে এই বার্তাটি পৌঁছে দিতে হবে সাধারণ জনগণের মধ্যে।
তিনি বলেন, এই পরিবর্তন শেখ হাসিনার কারণে সম্ভব হয়েছে। আপনারা হাটে-মাঠে-ঘাটে, চায়ের দোকানের আড্ডায় যখন কথা বলেন, তখন সরকারের উন্নয়নের কথাগুলো বলতে হবে। দেশ পরিবর্তনের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এখন গ্রাম আর শহরের মধ্যে পার্থক্য যে নাই, সেটি মানুষকে বলতে হবে।
শনিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা ও বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর ও খরনদ্বীপ ইউনিয়নের ২০০৩ সাল থেকে এপর্যন্ত নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান, মেম্বর, মেয়র ও কাউন্সিলররা অংশগ্রহণ করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, স্থানীয় সরকারকে শেখ হাসিনা শক্তিশালী করেছেন বলেই চেয়ারম্যান-মেম্বররাও শক্তিশালী হয়েছেন। গ্রাম আদালতও এখন কার্যকর। গ্রাম আদালত এখন আইনদ্বারা বিধিবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান। এরকম আগে ছিল না। আগে গ্রাম আদালত কিছুদিন থাকলেও পরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেটি আমাদের সরকার আবার চালু করেছে।
বিএনপির সমালোচনা তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি করার সুযোগ আর দেবে না, জনগণের সম্পদ নষ্ট করে অপরাজনীতি করাও আর সম্ভবপর হবে না।
বিএনপিকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। জনগণ কাদের সঙ্গে আছে দেখুন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এদেশের মানুষ আবারও ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে পরপর চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, এখন প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় এবং পত্রিকার পাতায় দেখতে পাই, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা সরকারকে আর একদিনও সময় দেবে না। এভাবে সময় না দেওয়ার মধ্যে আল্লাহর রহমতে সাড়ে ১৪ বছর আমরা ক্ষমতায় আছি। তারা যতই সময় দেবে না বলে, ততই জনগণ আমাদের সময় বাড়িয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের বাজেট ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। এবার আমাদের বাজেট হলো ৭ লাখ ৬১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। বাজেটের আকার তাদের চেয়ে সাড়ে ১১ গুণ বড়। এখন গ্রামে শহরের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ‘গ্রাম হবে শহর’ ছিল গত নির্বাচনে আমাদের স্লোগান। সমগ্র বাংলাদেশ শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে। এখন দেশের প্রতিটি গ্রাম বদলে গেছে। আজকের বাংলাদেশের চিত্রের সঙ্গে ১৫ বছর আগের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা এখন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম চিশতি।