বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সমাবেশ করতেই পারে। সেই অধিকার তাদের আছে।কিন্তু সমাবেশের নামে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা করে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। কেউ সমাবেশের নাম করে বিশৃঙ্খল আচরণ করবে এটি বরদাস্ত করা হবে না।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের আগমন এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক করতে তাদের চাওয়া প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বদ্ধ পরিকর সরকার। আমাদের চাওয়া আর বন্ধুদের চাওয়াতে তো কোনো পার্থক্য নেই। এখানে কোনো চাপের বিষয় বা অন্য প্রসঙ্গ আসতে পারেনা। কারণ আমরা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বদ্ধ পরিকর।
হানিফ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দরিদ্র বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই উন্নয়নশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিদেশি অনেক বন্ধুদের সহায়তা আমাদের প্রয়োজন হয়েছে। আমাদের এখানে উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে অনেক বিদেশি বন্ধু আছে। দেশের নির্বাচন নিয়ে তারা যদি মনে করেন নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হলে ভালো হয় এটাতো দোষের কিছু নেই। তাদের মনে করাটা আর আমাদের প্রত্যয় দুইটা তো একই। অতএব এখানে কোনো সমস্য নেই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বরাবরই বিদেশি ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের জনগণ যতদিন পর্যন্ত শেখ হাসিনার পাশে আছেন ততদিন কোনো ষড়যন্ত্রই সফলতা লাভ করবে না। সমাবেশের নাম করে, রাজনৈতিক কর্মসূচির নাম করে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা কর্মকাণ্ড করে সেগুলোকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবুসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।