যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল -এ তিন সংগঠনের উদ্যোগে আজ (শনিবার) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই তারুণ্যে সমাবেশে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।
এরই মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের নির্ধারিত স্থানে মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। দুপুরে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে বলে জানা গেছে। তারুণ্যের সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন।
‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ স্লোগানে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে সফল করতে শুক্রবার রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ করেছে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। তারা সাধারণ মানুষজনকেও সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবং নতুন ভোটার আর তরুণদের কাছে টানতে জুন মাসের প্রথমদিকে বিএনপি ‘তারুণ্য সমাবেশে’র ঘোষণা দেয়। দলটির অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে এ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয় দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরামে। ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম (১৪ জুন), বগুড়া (১৯ জুন), বরিশাল (২৪ জুন), সিলেট (৯ জুলাই) ও খুলনায় (১৭ জুলাই) তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২২ জুলাই) ঢাকায় সবশেষ সমাবেশ করছে। সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি শেষ বলে জানিয়েছে দলটির নেতারা।
শুক্রবার উদ্যান পরিদর্শনে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী জানিয়েছিলেন, সমাবেশের প্রস্তুতি অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের সমন্বয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের যুব সমাজের যারা অধিকারবঞ্চিত, চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার তাদের আমরা ঐক্যবদ্ধ করছি, মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে।
এই সমাবেশে নতুন জাগরণ সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে জিলানী বলেন, তারুণ্যের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। তরুণদের নিয়ে রাজপথে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে রুখে দেবো।
৪ কোটি ৭০ লাখ তরুণ গত ১৪ বছরে ভোট দিতে পারেনি দাবি করে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরও বলেন, তারা অধিকারবঞ্চিত। গত ৫টি বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ তারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে।