বিএনপির হামলায় ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ ঢাকার প্রবেশ মুখে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এ কর্মসূচি ঘোষণার ক্ষেত্রে তারা ঢাকা মহানগর পুলিশের কোনো অনুমতি নেননি। এমনকি তারা অনুমতি নেওয়ার জন্য আমাদের কাছে কোনো রকম আবেদনও করেননি। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে গতকাল রাতে বিএনপি এবং মিডিয়াকে জানানো হয়, তাদের (বিএনপি) আজকের অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি। যেহেতু ডিএমপির পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি, সেহেতু এটি একটি বে-আইনি সমাবেশ।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে গাড়িতে আগুন দেওয়াসহ গতিরোধ, ককটেল নিক্ষেপ ও পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ চালান। এ আক্রমণে ডিএমপির ট্রাফিক দক্ষিণের যুগ্ম-কমিশনার মেহেদীসহ প্রায় ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের ওপর আক্রমণ ঠেকাতে ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ থেকে নিবারণের জন্য তাদের ওপর রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। তারা পুলিশের ৮ থেকে ১০টি গাড়ি ভাংচুর করাসহ প্রায় ২০টির মতো গণপরিবহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে তাদের ওপর বল প্রয়োগ করা হয়।
ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত অভিযানে বিএনপির ৯০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। যারা এসব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা হবে।