প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটু আন্দোলন-সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জনগণ আমাদের সাথে আছে। জ্বালাও-পোড়াও আমরা সহ্য করব না। সেটা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম যাই করুক তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।
আজ (সোমবার) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা সমর্থন করেনি, তাদের মনের বৈরিতা কিন্তু এখনো কেটে যায়নি। সেটা অতিক্রম করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। মানুষের জীবনে সমস্যা আসে, সেটা অতিক্রম করার জন্য মনোবল দরকার হয়, শক্তির দরকার হয়। এই শক্তি নিয়ে চললে বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ এগিয়ে যাবে।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক মুক্তি; বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়; বাঙালি জাতি বিশ্ব দরবারে যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারে। শোষণ, বঞ্চনা, নিপীড়ন ছিল এই বাঙালির ভাগ্য। সে ভাগ্যকে পরিবর্তন করার জন্য তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রিত্ব বড় কথা নয়, আমি মনে করি, জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি, সেটাই করে যাচ্ছি। সব ধরনের সেবা কীভাবে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থা করছি। কেউ ভালো কাজ করলে পুরস্কার দেওয়া, বিদেশ থেকে কর্মকর্তাদের ট্রেনিং করিয়ে নিয়ে আসা, এগুলো জাতির পিতা শুরু করেছেন। আমরা সেটা অব্যাহত রেখেছি।
সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের করা কমিউনিটি ক্লিনিক বিএনপি বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ, মানুষ এখান থেকে সেবা নিয়ে নাকি আমাকে ভোট দেবে। মানুষের কথা তারা চিন্তা করেনি। তাদের চিন্তা ছিল ভোটের। এটার ফলও পেয়েছে। ২০০৮-এর নির্বাচনে মাত্র ২৯টা সিট পেয়েছে তারা।