জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে কয়েকটি গুরুতর মারধরের ঘটনা ঘটে। যেখানে অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখায় পদধারী নেতাকর্মীরা। উগ্র আচরণ আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বাজে ব্যবহার, মারধরের পাশাপাশি সাংবাদিকদের উপরেও হামলার ঘটনায় জড়িত তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু রাজনীতি পরিচালনায় সোচ্চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন। কিন্তু তাদের দেওয়া পদধারী বিভাগের কমিটির অনেকের আচরণ উগ্র ও মারমূখী। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুর্নাম তথা দলের সুনাম নষ্ট করার উপক্রম হয়ে দাড়িয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩১ জুলাই রসায়ন বিভাগের ১৬ তম আবর্তনের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ যায় প্রক্টর অফিসে। অপরদিকে ছাত্রলীগ নেত্রী অভিযোগ করে যৌন হয়রানির। যার সূত্র ধরেই ছাত্রলীগ নেতারা মারধর করে সেই শিক্ষার্থীকে।
উক্ত ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য বরাবর বিভাগ থেকে লিখিত অভিযোগ গেলে তিনি জানান, “এ বিষয়টিকে তদন্ত করা হবে। অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণিত হলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়টিকে বিবেচনায় এনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জানা যায়, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে মোট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার ও সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো.সায়েদুর রহমান।