জিয়াউর রহমান দেশের ভোট ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে : আমু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, এদেশে ভোট ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে জিয়াউর রহমান। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ ভোটের নামে ব্যালট পেপারে সিল মেরে মানুষের ভোটাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আজ সেই জিয়াউর রহমানের সৃষ্ট বিএনপি তত্ত্বাবধায়কের দাবি করছে।

রোববার (৬ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটেরিয়ামে সম্মিলিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনীতিতে ৫৮ দলীয় জোটের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আয়োজন করে জাতীয় জোট ৫৮ দলীয় (ইউএনএ)।

আমির হোসেন আমু বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। সেই জনগণকে সাথে নিয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।

তিনি বলেন, কারও ভয়ভীতিতে নয়, সংবিধান অনুযায়ী এদেশ পরিচালিত হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যারা দেশের পবিত্র সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে, জাতীয় চার মূলনীতিকে ভূলুণ্ঠিত করে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

এতে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত জাতীয় জোট ৫৮ দলীয় ইউএন এ এর মহাসচিব ডাক্তার খন্দকার মো. ইমদাদুল হক সেলিম।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মুখপাত্র আলতাফ হোসাইন মোল্লা, সম্মিলিত জাতীয় জোটের প্রধান সমন্বয়কারী শাহ ওয়ালিউল্লাহ ফরহাদ, ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি চেয়ারম্যান প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা শরিফ হাজারী, বাংলাদেশ ইসলামিক জনতা পার্টি চেয়ারম্যান মাওলানা মো. আযহারুল ইসলাম, গ্রামীণ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হায়দার আলী ও ইসলামিক সমাজতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মুফতি তালিবুল ইসলাম।