ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি আরও আগেই বাতিল করা উচিত ছিল।
এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আশা করি, সাইবার নিরাপত্তা আইনটি নিবর্তনমূলক হবে না। সাইবার নিরাপত্তা আইন যেন মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকারের পরিপন্থী না হয়। সাইবার নিরাপত্তা আইন যেন ভিন্ন মত দমনের হাতিয়ার না হয়।
সাইবার নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলেও বিবৃতিতে যোগ করেন কাদের।
গণমানুষের অধিকার নিশ্চিত করেই সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবিও জানিয়েছেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আইন আখ্যা দিয়ে শুরু থেকেই আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে এসেছে আইনজীবী, ছাত্র-শিক্ষক, মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন।
তাদের দাবি, ক্ষমতাসীন দলের লোকেরাই বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই মামলাকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
এ আইনের সমালোচকদের মতে, এ আইনে দায়ের হওয়া মামলার সবচেয়ে বিতর্কিত দুটি বিষয় হলো এখানে মতপ্রকাশকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয় এবং আইনের বেশ কয়েকটি ধারা জামিন অযোগ্য।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মোট ৫৩ ধারার মধ্যে ১৪টি ধারা অজামিনযোগ্য হিসেবে নির্দিষ্ট করা আছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পরিবর্তনের কথা আগেই জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ আইনের বহু ধারা নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে যুক্ত করা হবে। কিছু ধারায় বড় সংশোধনী আনা হবে।
নতুন আইনে মানহানির ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কারাদণ্ডের বিধান থাকছে না। তবে থাকছে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। অনাদায়ে ৩ বা ৬ মাসের কারাদণ্ড। এ সাজা শুধুমাত্র জরিমানা না দিতে পারলেই ভোগ করতে হবে।