১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘মাঠের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। যারা ভয় পায়, তারা বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পায়তারা করে। পরিস্থিতি ঘোলাটে করে।’
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে ও আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক অবদান রয়েছে। তার নেতৃত্বের এ সফলতা অনেকের গাত্রদাহের কারণ বলে গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছেন তারা। কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তাদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের সব জবাব দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর মনে হয়েছিল- একটা পরিবারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড। একদিকে হত্যাকাণ্ড অন্যদিকে, মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ। বোঝানো হয়েছিল, এটি একটি পরিবার কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড। আড়াই মাস পর জেল হত্যায় স্পষ্ট হয়ে যায় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল জাতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, সেটা তারা চাননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব হত্যাকাণ্ডে লাভবান হয়েছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তি। জিয়াউর রহমান এ ঘটনার মাস্টার মাইন্ড। তিনি হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেন। সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন ও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ তার পরিচয় বহন করে। পরবর্তীতে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন খালেদা জিয়া। খালেদা ও এরশাদ দুইজন মিলে যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় আনেন। এছাড়া শেখ হাসিনাকে ১৯বার হত্যার চেষ্টা করেন তারেক রহমান।’