সাঈদীর গায়েবানা জানাজা করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে জামায়াত

পিরোজপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহের জানাজা শেষে দাফন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (১৬ আগস্ট) বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গায়েবানা জানাজা নামাজের ঘোষণা দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে সেটি স্থগিত করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ জানান, আগামীকাল জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গায়েবানা জানাজা নামাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সেটি স্থগিত করা হয়েছে। তার পরিবর্তে আগামীকাল সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

জামায়াত ঘোষিত গায়েবানা জানাজা নামাজের সিদ্ধান্ত স্থগিত করার আগেই আজ (মঙ্গলবার) সকালে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছিলেন, গতকাল (সোমবার) রাতের হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি বিবেচনা করে জামায়াতকে গায়েবানা জানাজার অনুমতি দেওয়া হবে না।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, গতকাল আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ নিয়ে জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। গাড়ি ভাঙচুর করে বেশ কয়েকজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করে। ফজরের নামাজের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল দখল করে নিলো। পরে বাধ্য হয়ে সীমিত শক্তি প্রয়োগ করা হয় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে।

এর আগে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা সাঈদী সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এমন খবরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সামনে দলীয় নেতাকর্মী ও উৎসুক জনতা ভিড় জমান। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

পরে সকালে পুলিশের কঠোর পদক্ষেপে ধাওয়া ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের মাধ্যমে রাস্তা খালি করে মরদেহ পাঠানো হয় পিরোজপুরে। সেখানে বাদ জোহর জানাজা নামাজ ও দাফন সম্পন্ন হয়।