বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল যুদ্ধে যাওয়ার মূল নির্দেশ : কাজী ফিরোজ রশিদ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল  যুদ্ধে যাওয়ার মূল নির্দেশ ও অনুপ্রেরণা বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন,বঙ্গবন্ধু যখন ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছে তখন আমরা নিশ্চিত হয়ে গেছি ঘরে আর থাকার সময় নেই, যুদ্ধে যেতে হবে।

বুধবার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ আয়োজিত ১৫ আগস্ট  জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাস ছিল। সেটা বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেই পাকিস্তানি বন্ধী দসা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি করতে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন ৭ মার্চের ভাষণ দেন তখনি আমরা বুঝতে পেরেছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জন্য ডাক এসে গেছে। তখন আমরা ঘরে না থেকে মুক্তিযুদ্ধে চলে গেছি। কিন্তু আমাদের কাছে অস্ত্র ছিল না। তখন আমরা খোঁজ নিয়েছি কার ঘরে লাইসেন্স করা অস্ত্র আছে,তার কাছে অনুরোধ করে বুঝিয়ে শোনিয়ে অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি।

তিনি বলেন,ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী থেকে একজন এসে যখন বঙ্গবন্ধুকে বললো আপনাকে হত্যা করার জন্য  ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাংলাদেশের  বাঙালিরা আমাকে মারবে, এটা বলে তাদের কথায় পাত্তা দেননি তিনি।

ঢাকা- ৬ আসনের এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে এমন ভালোবাসতে যে তিনি একজন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে তিনি বাসায় ওই ধরনের কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখেনি।

জাসদের কঠোর সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ যেদিন জাসদ হয়েছে তারপরের দিন যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করছি আমরা। এ জাসদ মুক্তিযুদ্ধ করছে। তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে করে এসে অস্ত্র ভাগ করে আলাদা হয়ে গেলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে জাসদ ট্যাঙ্কের উপর বসে উল্লাস করছে দুঃখের বিষয়।

আমেরিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময়ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীনদেশ, এদেশের ভালো মন্দ দেশের জনগণ ঠিক করবে। এদেশ আমাদের দেশের ভালো মন্দ আমরা ঠিক করবো, কীভাবে নির্বাচন হবে, আমরা ঠিক করবো। কিন্তু এখনো তারা (বিদেশি) ব্যস্ত হয়ে পড়ে, সারাদিন দিন দৌড়াদৌড়ি করে কী করবে। এই তারাই স্বাধীনতার সময় সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। এই আমেরিকা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন,বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে প্রতিশোধ নিতে মূল অভিষ্ঠ লক্ষে পৌছাতে পারিনি। আমরা কিছু ছাত্রলীগ নেতারা মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় গেলেও তারা কোনো নির্দেশনা দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তার কন্যাদের বাংলাদেশে আসতে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল কিন্তু সাহসী পিতার সাহসী কন্যা শেখ হাসিনা সকল বাঁধা অপেক্ষা করে মাতৃভূমিতে ফিরে হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। বাবার (বঙ্গবন্ধু) মতোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবেন বলেই জীবন বাঁচি রেখে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য ২১ বছর লড়াই করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের মানুষের পালর্স বুঝে কাজ করতেন। শেখ হাসিনা তারই আর্দশের ধারণ করে মানুষের পার্লস বুঝে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো.সামসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের গভনিংবডি’র চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ শরীদ, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন,

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি ডা.মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী,জানাতুল বাকী,সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ব্রি. জে. অব. অধ্যাপক ডা.ইফফতা আরা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের গভনিংবডি’র সদস্য ও মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুসহ অনেকেই।