শুক্রবার স্মরণকালের বড় ছাত্রসমাবেশ করতে চায় ছাত্রলীগ

আসন্ন শুক্রবারের (১ সেপ্টেম্বর) ছাত্রসমাবেশকে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশে রূপ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ পরিকল্পনার কথা জানান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশে পাঁচ লাখের অধিক নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ।

লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, শোকের মাস আগস্টে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাসব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে থাকে। প্রতিবারের মতো এ বছরও তার বাত্যয় ঘটেনি। মাসব্যাপী কর্মসূচি পালনের সমাপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিবছর আলোচনা সভার আয়োজন করে থাকলেও, এ বছর ছাত্র সমাবেশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল ৩টায় এই ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, এবারের ছাত্র সমাবেশের বিশেষত্ব হলো, এটি হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ছাত্র সমাবেশ। যেখানে সারাদেশ থেকে প্রায় পাঁচ লাখের অধিক শিক্ষার্থী বন্ধু এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হবেন। সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশ সফল করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলমান উল্লেখ করে সাদ্দাম জানান, গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ‘প্রস্তুতি সভা’ অনুষ্ঠিত হয়, ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় ‘বিশেষ বর্ধিত সভা’, যেখানে সারাদেশ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে ১২৭টি সমন্বয় টিম গঠন করেছে, যার মাধ্যমে সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থী বন্ধুদের সুশৃঙ্খলভাবে ছাত্র সমাবেশে স্বাগত জানানো হবে। একইসঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি উপজেলায়, প্রতিটি ইউনিয়নে, প্রতিটি গ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দিনরাত প্রচারণা চালাচ্ছে পহেলা সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার ছাত্র সমাবেশ সম্পর্কে।

ছাত্রলীগের সবচেয়ে বড় এই সমাবেশ শিক্ষার্থী বান্ধব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে, পূর্বে এই ছাত্রসমাবেশের তারিখ ৩১ আগস্ট নির্ধারণ করা হলেও সেদিন সরকারি কর্মদিবস হওয়ায় এবং চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ও জনদুর্ভোগ লাঘব করার উদ্দেশ্যে তা একদিন পিছিয়ে পহেলা সেপ্টেম্বর আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে শিক্ষার্থীবান্ধব শ্রেষ্ঠ সংগঠন এবং সাধারণ জনসাধারণের সুবিধাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় এ সিদ্ধান্ত তারই বহিঃপ্রকাশ।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগের এই সমাবেশ কোনো ধারাবাহিক সাংগঠনিক সমাবেশ নয়। এই ছাত্র সমাবেশ মুক্তিযুদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ বৃহৎ ছাত্র জনতার মনের আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।