বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজবাড়ীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এতে মুহূর্তের মধ্যে রাজবাড়ী শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বাসভবন থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে পান্না চত্বর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় তার বাসায় যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বাসভবনে জড়ো হতে থাকে। এরপর বেলা সোয়া ১২টার দিকে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। আনন্দ শোভাযাত্রাটি পান্না চত্বর প্রদক্ষিণ করে শিল্প কলা মোড়ে আসলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। মুহূর্তেই রণক্ষেত্র পরিণত হয় রাজবাড়ী শহর। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্য, চার সাংবাদিকসহ বিএনপির ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে।
রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম বলেন, বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ আমাদের দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভা ছিল। আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কর্মসূচি করি। শোভাযাত্রায় প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রাটি পান্না চত্বর অতিক্রম করলে পুলিশ অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে আমাদের ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। আমাদের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় পুলিশের অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো.সালাহউদ্দিন বলেন, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজবাড়ীতে খৈয়ম গ্রুপ শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি পান্না চত্বর প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা মোড় আসলে তারা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের প্রত্যেকের হাতে ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা ছিল। তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।