দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্য শোনার অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তাদের নেতাদেরও এই প্রশ্ন করতে পারেন। এই উন্নয়নের মাইলফলক নিয়ে তারা কী বলেন, তা শোনার অপেক্ষায় আছি। তারা চোখ থাকলেও দেখে না, কান থাকতেও শোনোর না।’
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো দেশ আজ বদলে গেছে। ঢাকা শহর তো বটেই। ১৪ বছর আগে ঢাকা শহর থেকে চলে যাওয়া কেউ যদি ফের আসেন, তাহলে এই শহরকে চিনতে পারছেন না। একই চিত্র বাংলাদেশের অন্য শহর ও গ্রামের। দেশ আজ সত্যিকার অর্থে এগিয়ে গেছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একটি অবিস্মরণীয় অধ্যায়।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য সারা পৃথিবীতে বেড়েছে। তুরস্কে মূল্যস্ফীতি ৮২ শতাংশে উঠেছিল। পাকিস্তানে ৩২ শতাংশের ওপরে গিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১০ থেকে ২০ শতাংশ, রাষ্ট্র ভেদে কোনো দেশে ১০ শতাংশ, কোনো দেশে ২০ শতাংশ, জ্বালানির ক্ষেত্রে আরও বেশি। আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি ৮ থেকে ৯ শতাংশ। অন্য দেশের তুলনায় অনেক কম আছে। তবে এতে জনগণের যে অসুবিধা হচ্ছে, সে ব্যাপারে আমরা ওয়াকিবহাল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে জনগণের অসুবিধা না হয়। সেজন্য নানা ধরনের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে। আরও ৫০ লাখ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা দামে। এভাবে এবং বিনামূল্যেও চাল দেওয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন বাংলাদেশেঅ তারা একটা অজুহাত পেলেই দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এদের বিরুদ্ধে আসলে আমাদের একটা সামাজিক প্রতিরোধ দরকার।’
এখন ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা আবার সক্রিয় হয়েছে মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা ষড়যন্ত্র করে তারা বসে থাকতে পারে না। এখন ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা আবার সক্রিয় হয়েছে। সুতরাং তারা আবার ষড়যন্ত্র করে কিছু করতে পারে কি না চেষ্টা করছে। তারা তো বারবার ব্যর্থ হয়েছে, এখনও ব্যর্থ হবে।
আপনাদের সরকারের নীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন যে অবস্থা তাতে এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ধরে রাখা সম্ভব কি? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন হয় দেশে, ভোট দেয় দেশের জনগণ। এর সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতি বা কার কোন দেশের সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে বা সম্পর্ক নেই সেটার কোনো প্রভাব থাকা উচিত না, প্রভাব থাকে না।’