সরকারি তিতুমীর কলেজে শাখার ছাত্রলীগ নিয়ে নিউজ করায় সাংবাদিকের মাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়ল।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মদের বিল না দিয়ে মহখালীর জাকারিয়া বার ভাংচুর করলো তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ এই শিরোনামে কিছু গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হয়। সেই নিউজ (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির পেইজে শেয়ার করলে কমেন্টে সাংবাদিকদের মাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল।
তিনি কমেন্টে লিখেন, অন্যের ভুয়া নিউজ শেয়ার করে সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি বিতর্কের জন্ম দিল। আমাকে ফোনে পায় নাই কারণ আমি তখন নিউজকারীর মায়ের সাথে সুয়ে ছিলাম আর কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে আমাকে ফোন করেছিল আর আমি পোলাপান পাঠাইছি, আমাকে পায় নাই তাহলে আমি স্বেচ্ছায় পদ থেকে অব্যহতি নিব।
এর আগে বারে মদ্য পানের পর টাকা না দিয়ে উল্টো মারামারিতে জড়ায় সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার মধ্যরাতে মহাখালীর জাকারিয়া বারে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত একটার দিকে মহাখালী সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েলের অনুসারীরা মহাখালী জাকারিয়া বারে মদ খাওয়া কে কেন্দ্র করে ভাংচুর চালায়।
সরকারী তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন রাহুল, সহ-সভাপতি সুলতান, সহ-সভাপতি শাওন, শাহিন মাতব্বর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাগর এবং বহিরাগত আরও অনেকে মদ পানের জন্য বারে যায়। মদ পান শেষে বিল দেয়ার কথা বললে তারা বারের ম্যানেজার সহ অন্যান্য স্টাফদের উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করেন বারের মেনেজার। পরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়ল কে ফোনে জানালে তারা হল থেকে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে অস্র শস্র সহ পাঠিয়ে আটককৃতদের উদ্ধার করতে বলে। তখন তারা বারের গেটে তালা বদ্ধ দেখতে পেয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। বারের সকল মদ টাকা পয়সা লুটপাট করে বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে বারে লুটপাট করার ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যেখানে দেখা যায়, শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাগরকে বারের টেবিলে বসে মাতলামিরত অবস্থায় সহকর্মীদের ভাংচুর করতে উৎসাহ দিচ্ছে। তাছাড়া একাধিক নেতাকর্মীকে ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রসহ বারে হামলা ও ভাংচুর করতে দেখা গিয়েছে।
বারে হামলার ঘটনায় জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এ ধরনের কর্মকান্ড ছাত্রলীগের আদর্শের বিপরীত। এটা যদি ঘটে থাকে তারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। যদি কেউ জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী ইনান বলেন, আমি ঘটনাটি জানতাম না। আমি খোজঁ-খবর নিচ্ছি। কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেবো।