বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দেশের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে সার্টিফিকেট কোর্স চালুসহ মোট ৩টি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা কলেজ শাখার সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, কলেজ পর্যায়ে শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু, ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পাঠদান ও সফট স্কিল (সার্টিফিকেট কোর্স) প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চালু করতে হবে। কেননা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের অধিভুক্ত কলেজ কিংবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত স্নাতক-স্নাতকোত্তর পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। এখনও দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রত্যাশিত শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নেই অথবা ল্যাবরেটরি সুবিধা নেই। সেজন্য স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আরেকটি আহ্বান যেন কলেজগুলোতেও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পাঠদান শুরু করা হয়। আমরা আধুনিক ও উন্নত দেশের কথা বলছি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি। তাই আমাদের ছেলে-মেয়েদের প্রস্তুত করতে হবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। তাদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। সে বিষয়টি মাথায় রেখে অধিভুক্ত ও আওতাভুক্ত কলেজগুলোতে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলো খোলার আহ্বান জানাই। যাতে করে শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং কর্মবাজারে সঙ্গে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বাস্তবসম্মত সম্পর্ক তৈরি হয়।
সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য সার্টিফিকেট কোর্স চালু করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, সফটওয়্যার স্কিল বাড়ানোর জন্য সার্টিফিকেট কোর্স চালু করতে হবে। যাতে করে একজন আনুষ্ঠানিক দক্ষতা অর্জন করে সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে অংশ নিতে পারে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অধিভুক্ত বা আওতাভুক্ত কলেজগুলোর একাডেমিক কাউন্সিল ও সংশ্লিষ্টদের সবার প্রতি এসব বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।