বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ওঠানামা হওয়া স্বাভাবিক বিষয় বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
‘ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কার: গণমাধ্যম ও মুক্ত সাংবাদিকতার ভূমিকা’- শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন ফর কনসার্ন ইনভেস্টমেন্টের (বিজেএফসিআই) ও বাংলাদেশ এক্সপ্রেস যৌথ উদ্যোগ রোববার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় রিজার্ভ ছিল শূন্যের কাছাকাছি। এ সরকারের সময় রিজার্ভ বেড়েছে। কয়দিন আগে রিজার্ভ কমেছে। একটু চাপ আছে। তাই বলে এটাই কী প্রধান নিউজ হবে? রাত পোহালেই খবর আসে রিজার্ভ কত আছে। রিজার্ভ নিয়ে গেল গেল রব ওঠে। বন্যা হচ্ছে, সুন্দর সুন্দর রাস্তা হচ্ছে এগুলো নিয়ে তো নিউজ হচ্ছে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, মিথ্যা ও ফেক সংবাদ বন্ধ করতে হবে। ব্যক্তিগত আক্রমণ করে ফেক নিউজ দিয়ে। এসবের কারণে দেশের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, সংস্কার কাজটি খুব কঠিন, এরা কেউ সহজে নিতে চায় না।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, টার্মিনাল সার্ভিস দেয় না। সেবা দেবে পেছনের মানুষটা। সেটা যদি হয় বাংলাদেশ বিমান, তাহলে কোনোদিন সার্ভিস আশা করা যায় না। সেবা দেওয়ার মানুষের সংস্কার দরকার।
তিনি বলেন, ব্যাংক সেক্টরে একটি দুষ্টচক্র আছে। ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যাংকের মালিকরা একটি চক্র করে দেশের প্রকৃত অর্জনকে কুরে কুরে খেয়ে ফেলছে। যিনি রেগুলেটর তিনি ইমপ্লিমেন্টর। পৃথিবীর কোথাও এটা হয় না।
এজন্য রেগুলেশনে কোনো কাজ হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আমলাতন্ত্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধন নিয়ে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রত্যেকে এ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এটা নিয়ে এক মন্ত্রণালয় আরেক মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করে। পৃথিবীতে এরকম অর্থ আমলাতন্ত্র আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ। একজন আরেকজনকে দায় দেয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা ছিলেন প্রেস ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, পাওয়ার সেল ডিভিশনের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. হোছাইন, ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবিব।
প্যানেল আলোচক ছিলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক সিইও আতিউর রহমান প্রধান, ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলা ভিশনের প্রধান সম্পাদক আবদুল হাই সিদ্দিক প্রমুখ।