প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর যখন আমরা সরকার গঠন করি তখন রেলকে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় হিসেবে ঘোষণা দিই। আলাদা মন্ত্রণালয় করে বাংলাদেশে রেল যোগাযোগের যেন ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে, সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করি। সাড়ে ১৪ বছরে আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। রেলের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি। আঞ্চলিক ও অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আমরা ডুয়েল গেজ ও ব্রড গেজ এই ধরনের রেললাইন আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। যাতে করে আমাদের রেল গতিশীল হয়, যাতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে আরও সক্ষমতা অর্জন করে। ভবিষ্যতে আরও ৪৬টি নতুন ব্রড গেজ, লোকোমোটিভ ৪৬০টি, নতুন ব্রড গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ ২০০টি, মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ ১ হাজার ৩১০টি সংগ্রহেরও উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা আশা করি, তিন-চার বছরের মধ্যে সারা বাংলাদেশে রেলের যোগাযোগ আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হবে।
তিনি বলেন, আজ যে প্রকল্পটি সম্পন্ন হলো, আসলে এই রেল লাইন ভাঙ্গা পর্যন্ত এখন আমরা করেছি। ভাঙ্গা থেকে যশোরে সংযোগ হবে। আর যশোর থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত সংযোগ হচ্ছে, সে ব্যবস্থাটা আমরা করে দিয়েছি। আরেকটি প্রকল্প আমাদের মাথায় আছে, ভাঙ্গা থেকে বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী হয়ে পায়রা পর্যন্ত নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। তবে এটা ফিজিবিলিটি স্টাডি চলছে, এটা করা খুব কঠিন, কারণ আমাদের মাটি নরম, সক্ষমতা একটু কম। তবুও আমাদের প্রচেষ্টা আছে। আমাদের লক্ষ্য ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করা।