ঘোষণাকৃত চূড়ান্ত মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা প্রত্যাখান করে আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় এক সহকারী পুলিশ সুপারসহ অন্তত তিনজনের আহতের খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর ও নিশ্চিন্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার রশিদুল ইসলাম বারি। শ্রমিকদের নিক্ষেপ করা ইটে তলপেটে আঘাত পান তিনি। অপর আহতরা হলেন- কাভার্ডভ্যানের মালিক ও হা-মীম গ্রুপের শ্রমিক আরিফ।
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বাভাবিক নিয়মেই আজ সকালে কারখানায় কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দু-একটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করে কারখানা ত্যাগ করেন। এ সময় সড়কের দুই পাশের কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে বেলা ১১টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকার হা-মীম গ্রুপের শ্রমিকরা সড়কে নামেন। এ সময় তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শ্রমিকদের নিক্ষেপ করা ইটপাটকেলের আঘাতে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার আহত হন। এছাড়া এক শ্রমিক আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ওই এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যান ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। কাভার্ডভ্যানের চালকের আসনে বসে থাকা সিদ্দিক বলেন, সকাল ১০টার দিকে ইপিজেড থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় গাড়ির মালিক নাসির। তিনি গাড়ি নিয়ে নরসিংহপুর এলাকা পার হলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ভাঙচুর চালিয়ে গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে দিয়েছে। এ সময় ইটের আঘাতে গাড়ির মালিক নাসির আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি নাসির হাসপাতালে রয়েছে। আমি গাড়ি নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিকদের ছোড়া ইটের আঘাতে আমাদের সহকারী পুলিশ সুপার রাশিদুল বারি আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের শ্রমিকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরার চেষ্টা করেন। এ সময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হলে শ্রমিকরা সড়ক থেকে নেমে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।