রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশের পরিবেশকে বিবেচনায় রেখে ইলেকট্রিক ট্র্যাক সেকশনে যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছি। যেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সমস্ত রেল ব্যবস্থা ইলেকট্রিক ট্র্যাক সেকশনে করানো সম্ভব হয়।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে কাক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেলপথ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আমরা আশা করছি আগামী এক ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার এবং কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ট্রেন চালাতে পারবো। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৬টি নাম পাঠানো হয়েছে। তিনি এখান থেকে একটি নাম রাখতে পারেন বা কোন নাম দিতে চাইলে আমরা ট্রেনের জন্য সেই নামটি রাখবো।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারি-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
সেই হিসেবে আজ পর্যন্ত অনুমোদনের ১৩ বছর ৪ মাস ৪ দিন পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হয়। এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার। আজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হলো কক্সবাজার।