দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ করতে ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের আগে-পরে মোট পাঁচ দিনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬৫৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছে সংস্থাটি।
ইতোমধ্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান। এতে ৩০০ আসনের প্রতিটির জন্য দুই থেকে তিনজন করে বিচারিক হাকিম নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ইসির আইন শাখার যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকার জানিয়েছেন, পাঁচ দিন কাজ করবেন ৬৫৩ জন বিচারিক হাকিম। ভোটের আগে দুই দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দুই দিন তারা নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি বলেন, গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী অপরাধ আমলে নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট পেপার ধ্বংস করা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভোটদানে বাধা দেওয়া বা বাধ্য করা, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখা— জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা এ সমস্ত অপরাধগুলোর সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারবেন। এই দণ্ডগুলো তিন থেকে সাত বছর হতে পারে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।