নির্বাচনের পর বিএনপির বিলুপ্তি ঘটবে : কৃষিমন্ত্রী

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার (৩০ ন‌ভেম্বর) সকালে মধুপুর সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীনের হাতে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।

আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন থেকে চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এবার তিনি পঞ্চমবারের মতো টাঙ্গাইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করেছেন। তিনি এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সভাপতি।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামছুন্নাহার চাঁপা, মধুপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শোলাকুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. মীর ফরহাদুল আলম মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বিএনপির নেতা থাকে বিদেশে। তাদের দেশে আসার সৎ সাহস নেই। কারণ তারা অপরাধী। আদালতের মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত। খালেদা জিয়াও এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত। তারা (বিএনপির নেতারা) মনে করেন নির্বাচন হওয়া উচিত নয়। কারণ তারা নির্বাচন করতে পারবে না। বিদেশিরাও পর্দার অন্তরালে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে বলছে। তারা নির্বাচনে আসছে না। বাংলাদেশে মুসলিম লীগ বলে একটি দল ছিল। মুসলিম লীগ আজ বিলীন হয়ে গেছে। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির বিলুপ্তি ঘটবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বারবার ভুল করছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সম্পৃক্ত নন। জামায়াত-বিএনপি প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত। তাদের দেশপ্রেম নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।।

তি‌নি আরও বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৮ মিনিট টেলিফোনে আলাপ করেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া নেত্রীর আহ্বানে সাড়া না দিয়ে আন্দোলনের নামে বাসে আগুন দিয়েছিল, রেললাইন পুড়িয়েছিল। তারা ভেবেছিল আগুন সন্ত্রাস করে আন্দোলন সফল করে ইচ্ছা মতো নির্বাচন কমিশন গঠন করে ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বাংলার জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০১৮ সালে নির্বাচনে এসেছিল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।