কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটপ্রাপ্তিতে প্রভাব বা সুযোগ তৈরি হয় এমন কোনো কাজ স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা করতে পারবেন না। একই রকম আদেশ মানতে হবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ১৯ নভেম্বর নির্বাহী আদেশ জারি করে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সচিবের জারি করা আদেশটি নির্বাচনের পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো এবং এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব এবং তারা কি কি করতে পারবেন না আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাভুক্ত। এসব প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন সময়ের দায়িত্ব পরিস্কারভাবে আদেশে বর্ণিত হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পরিষদ এমন কোনো উন্নয়ন স্কিম নিতে পারবে না, যা কোনো প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তি বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে।
একই কারণে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতিও দিতে পারবে না। কারণ, এতে কোনো প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তি বা প্রচারণার কাজে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো অফিস, যানবাহন বা অন্য কোনো সম্পত্তি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করা যাবে না; এমনকি মাশুল দিয়েও সেগুলি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যাবে না।
আদেশে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।
স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে বা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।
দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ, শৈথিল্য প্রদর্শন বা অবহেলা করলে আইনানুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুসারে, প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর। অর্থাৎ নির্বাচনের ২১ আগে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে, যা ভোটের দুদিন আগে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আর ভোটগ্রহন হবে ৭ জানুয়ারি।