বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঢাকা ১৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও তালতলা শতদল স্টাফ কোয়ার্টার থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আমার আসনসহ সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এই ভোট উৎসবে মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। এই উৎসবে মাতোয়ারা যখন দেশের মানুষ, তখন এই দেশে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিপর্যস্ত করতে চায়।
তিনি বলেন, আমি আজকে একটি ওয়ার্ডের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে এসেছি। এই অঞ্চলে নির্বাচনী আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। আমি এই আসনে ২০০৮ সাল থেকে ১০ বছর জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলাম। এই এলাকা একটি মুখ থুবড়ে যাওয়া এলাকা ছিল। সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য, মাদকের স্বর্গরাজ্য ছিল। এই অঞ্চলে পানির সংকট এবং জলাবদ্ধতা ছিল। জলাবদ্ধতার সময় মানুষ হাঁটু এবং কোমর সমান পানিতে চলাচল করতো। এই এলাকায় বিএনপি নামক একটি বস্তি মাদকের পাইকারি বাজার ছিল। আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর এই অঞ্চল থেকে মাদক এবং সন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন করে দিয়েছি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, এই অঞ্চলের পানির সংকট সমাধানসহ মৌলিক যে উন্নয়ন রয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়েছিল, আমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছি। তাই এই অঞ্চলের মানুষ আমার কাছে প্রতিশ্রুতি চায় না। তাদের আস্থার ঠিকানা, বিশ্বাসের জায়গা হলাম আমি। সেই বিশ্বাস এবং আস্থার জায়গা থেকেই মানুষ আমার কাছে প্রতিশ্রুতি চায় না। মানুষ জানে এই এলাকার উন্নয়নে আমি আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়োগ করব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি তাদের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি যেমনভাবে গুপ্ত হত্যা এবং হামলার পথে গিয়েছিল, সেই পথেই তারা গিয়েছে। তারা জনগণের বিরুদ্ধ শক্তি হিসেবেই নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। আজও জনগণ যখন নির্বাচনমুখি, তখন তারা জনগণের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং নিশ্ছিহ্ন হয়েছে।