বিএনপি নয় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে মানুষ পুড়িয়ে মারে আওয়ামী লীগ ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা।’
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে উওরা ১২ ও ১৩ নম্বর সেক্টরে অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি করতে লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, কিছু দিন আগে ভোলায় বোমা বানাতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী মারা গেছে। বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল বোমাসহ হাতে নাতে ধরা পড়েছে যুবলীগ, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। আর দায় চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন রুখে দিতে জনগণকে আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। এতরফা, অবৈধ, ভাওতাবাজি ও জনণের সঙ্গে প্রতারণার এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
রিজভীর দাবি, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে আওয়ামী লীগের লোকেরা বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিএনপি বিরুদ্ধে দায় চাপিয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এখন আদালতকে হুকুম দিয়ে গণহারে সাজা দেওয়া হচ্ছে। আসলে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে নির্মূল করে চিরদিন ক্ষমতা আকঁড়ে রাখেতে চান। কিন্তু জনগণ তা হতে দেবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ অর্থনীতি বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোস্তফা জামান প্রমুখ।