অবৈধ মজুতদারদের শুধু জরিমানা করেই ছাড় দেওয়া হবে না। তারা না শোধরালে জেলে যেতে হবে বলে সতর্ক করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনপ্রতিনিধি এবং জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের মানুষের সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্যশষ্যের কোনো ঘাটতি নেই। সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের সরকারিভাবে ওএমএস চালু আছে। ডিজিটাল কার্ড প্রস্তুত হয়েছে। শীঘ্রই ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ করা হবে। এতে এক ব্যক্তি বারবার চাল নিতে পারবে না।
চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ব্যবসায়ীদের অধিক লাভের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে মিলার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী, করপোরেট সবার দায় আছে বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স স্পটে গিয়ে দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। অনেকে আবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা লাইসেন্স নিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য মজুত করে ফেলে। এটা তো হতে পারে না।
খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ পাস হয়েছে। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। এটি কেবিনেটে অনুমোদিত হলে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়ন কার্যক্রমের খোঁজ নেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। মজুতবিরোধী অভিযানকালে খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ছুটি বাতিল ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কর্মস্থলে অবস্থান করার আদেশ জারি করতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে টেলিফোনে নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। এছাড়া দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।