নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আরও বেপরোয়া ও নৃশংস হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে। তারা বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের খুন-জখমে আরও বেশি বেপরোয়া ও নৃশংস হয়ে উঠেছে।’

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চট্টগ্রামের রাউজানে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত ও পৈশাচিক হামলায় প্রবাসী বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মুছার মৃত্যু নিষ্ঠুর আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর নির্মমতার ইতিহাসে আরও একটি কলঙ্ক যোগ হলো। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যই হলো জনগণের ক্ষমতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সন্ত্রাস আর খুনের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদে বসে দেশে ভয়াবহ দুঃশাসন জারি রাখা। মিথ্যা গলাবাজিই এদের শাসনের মূলমন্ত্র। মানুষের রক্তে হাত রাঙাতে এরা এতটাই নিষ্ঠুর যে, মানুষ হত্যা করে এরা উল্লসিত হয়।’

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রশাসনকে কব্জায় নিয়ে ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী তীব্র মাত্রায় দাম্ভিক হয়ে উঠেছে। দেশে আইনের শাসন নেই বলেই সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা হত্যা আর রক্তপাত ঘটালেও তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নেমে এসেছে প্রাণবিনাশী সর্বনাশা আক্রমণ। তবে কোনো কর্তৃত্ববাদী নিপীড়ক সরকারই জনগণের ওপর স্টিমরোলার চালিয়ে বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীও পারবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে মোহাম্মদ মুছার হত্যাকারী চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। তিনি নিহত মোহাম্মদ মুছার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন।