অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে অভিযান জোরদার হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালগুলোতে অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা সারা দেশেই অভিযান পরিচালনা করছি। এক্ষেত্রে আজকের ডিসি সম্মেলনে অভিযানগুলোতে ডিসিদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, জেলা প্রশাসকরা আমাদেরকে চিকিৎসা সেবায় নানা সীমাবদ্ধতা ও জনবল সংকটের বিষয়ে জানিয়েছেন। বিশেষ করে তাদের এলাকার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক-নার্সের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি, এমনকি হাসপাতালগুলোতে রোগী অনুপাতে টাকা বরাদ্দ নেই, যার ফলে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। আমি তাদেরকে বলেছি আমার পক্ষ থেকে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে আমরা যে একটা অভিযান শুরু করেছি, সেগুলোতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে টিম যাবে, তাদেরকে যেন সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়। কারণ হলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তো ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নেই, কিন্তু এটা ডিসি সাহেবদের আছে। অভিযানটা যেন সুষ্ঠুভাবে হয়, এখানে যেন কোন ধরনের বাধা না আসে আমরা সে বিষয়ে ডিসি সাহেবদের অবহিত করেছি। আমরা যেন এই অভিযানটা সুষ্ঠুভাবে সারা বছর পরিচালনা করতে পারি।

স্বাস্থ্যগত জনবহুল সমস্যার সমাধানে কত সময় লাগবে? প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি তো কিছুদিন আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছি। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দুই সচিবসহ একটা মিটিং করেছি, সেখানে স্বাস্থ্যখাতে একটি স্ট্যান্ডার্ড জনবল কাঠামো জমা দিয়েছি এবং তারা সেটি অ্যাপ্রুভ করেছে। এটার জন্য একটু সময় লাগবে। একবারে তো সবকিছু করা সম্ভব না। পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে আমরা সব হাসপাতালেই জনবল নিয়োগ দেব।

তিনি আরও বলেন, আমি এতদিন একা ছিলাম (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে) এখন আরেকজন যুক্ত হয়ে দুইজন হয়েছি। দুজনে মিলে কাজ করে পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দিকে নিয়ে যাবো।

এর আগে আজ রোববার (৩ মার্চ) চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে রাখা হয় মোট ৩৫৬টি প্রস্তাব। জানা গেছে, আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয় ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ ইত্যাদি।