বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে। শেখ হাসিনা তার শাসনামলে বিরোধী দল রাখবেন না, এই প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্যই দেশের গণতন্ত্র বারবার আওয়ামী লীগের কাছে অবরুদ্ধ হয়। সুতরাং এই গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে জিততেই হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম আয়োজিত ৭ই মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারি যে ডামি নির্বাচন করেছেন তাতে কয়েকটি দেশ প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছে। তাছাড়া গণতন্ত্রকামী বিশ্ব এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ভারত একটি করিডোর চায়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে তা দিয়েও দিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে আগরতলা এটা হয়েছে। এখন তারা আরো একটা করিডোর চাচ্ছে। এগুলো তারা তলে তলে আগে আলোচনা করে রেখেছিল। যার কারণে পলিসিগত কারণে প্রত্যক্ষভাবে শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছে ভারত। দেশের একটা জায়গা দিয়ে দেওয়া মানে দেশের ৯০% সার্বভৌমত্ব দিয়ে দেওয়া। এটা শেখ হাসিনা করেছেন।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সবাই ছাত্র। আপনাদেরকে সূক্ষ্মভাবে দেখতে হবে। এর আগে শেখ হাসিনা বলেছেন, মালয়েশিয়ায় তারেক রহমানের মিল কলকারখানা। আরো কত কিছু বলেছেন তার কোনো কিছুই প্রমাণিত হয়নি। আপনি তো অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন। আপনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তারেক রহমানের মালয়েশিয়ায় কারখানা আছে এই তথ্য তো দিতে পারলেন না। ডামি নির্বাচন করে জনগণকে প্রতারিত করে ক্ষমতায় বসে আছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের জনগণ সব প্রমাণ দেখতে পাচ্ছে।
রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান আমাদেরকে আত্মনির্ভরশীল জাতিতে পরিণত করেছিলেন। জিনিসপত্র বাজার থেকে কিনে খেতে হতো না। কিন্তু এখন অনেক জিনিসই ভারত থেকে আমদানি করা হয়। শেখ হাসিনার আমলেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করতে হবে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।