জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ এর (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে৷” সুতরাং কেবলমাত্র জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ জনগণের অভিপ্রায় অনূযায়ী আইন- বিধির সীমাবদ্ধতার আওতায় জাতীয় সরকার ও স্থানীয় সরকার পরিচালনা করবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণ গৃহীত নীতি ও সিদ্ধান্তাবলী বাস্তবায়নের কার্য পরিচালনা করবে। প্রত্যেক কর্মচারী তার জন্য প্রযোজ্য আইন, বিধি, নীতিমালা অনূযায়ী কার্য সম্পাদন করবেন। জনগণের মালিকানা ও সর্বময় কর্তৃত্ব সর্বদা নিরঙ্কুশ রাখতে অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, সুন্দর ও জন-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে সকল নির্বাচন , সুন্দর, স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং জন-অংশগ্রহণমূলক হবে।
আজ শনিবার ( ৯ মার্চ ) নিজ নির্বাচনী এলাকা জয়পুরহাটের কালাই, আক্কেলপুর ও ক্ষেতলাল উপজেলায় অনুষ্ঠিত তিনটি পৃথক মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিদ্যমান নির্বাচন আইন, বিধি ও আচরণ বিধিমালা আরো সংশোধন করে সহজী-করণ, যুগোপযোগী এবং অধিকতর জবাবদিহিতা ও প্রায়োগিক করা হবে। নির্বাচনে কালো টাকা, পেশীশক্তির ব্যবহার বন্ধ করতে সকল ছিদ্র বন্ধ করা হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশন, অংশীজন, সিভিল সোসাইটি, সরকার ও সংসদ অভিন্ন উদ্দেশ্যে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বসেরা সিনিয়র পলিটিশিয়ান, উন্নয়ন বিশারদ, কল্যানময়ী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসামান্য সফলতা অর্জন করেছে। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোলমডেল। কিন্তু কতিপয় দেশ-প্রেমহীন ও দেশ-বিরোধী গোষ্ঠীর অপপ্রচার ও আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পশ্চিমাদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হস্তক্ষেপ নির্বাচন বিষয়ে বারবার বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা কোন ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নেতিবাচক রাখতে চাই না। এজন্য নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সকল ছিদ্র বন্ধ করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। কোন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেওয়া হবে না।
স্বপন বলেন, নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ করা না করা উক্ত রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কিন্তু জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রতিটি নির্বাচন অর্থবহ ও প্রশ্নোত্তর করতে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। জনগণের ভোটাধিকার সমুন্নত রেখে ষড়যন্ত্রকারীদের সকল অপতৎপরতা অর্থহীন করে তোলা হবে। এজন্য তিনি দেশবাসীকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
কালাই উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম, আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম ও ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এসব মত বিনিময় সভাসমূহে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাহফুজা সুলতানা মলি এমপি, মিনফুজুর রহমান মিলন, অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, আব্দুল মজিদ মোল্লা, ফজলুর রহমান, তৌফিকুল তালুকদার বেলাল, আলহাজ্ব মোকছেদ আলী মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম তালুকদার, মেয়র সিরাজুল ইসলাম, মেয়র শহীদুল আলম, মেয়র রাবেয়া সুলতানা, সিরাজুল ইসলাম বুলু, মোস্তাকিম মন্ডল, আলহাজ্ব দুলাল মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান প্রমুখ।