বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির প্রত্যেক সদস্য অতন্দ্র প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সীমান্ত এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে খাগড়াছড়ির রামগড় আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বিজিবির ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট আইসিপি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, আইপিটি ও আইসিপি চালু হওয়ার পর এ পার্বত্য জনপদের অর্থনৈতিক ধারা অনেক বিস্তৃত হবে। আইসিপি চালু হলে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আরও উন্নয়ন ঘটবে। বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের অর্থনীতিতে আরও গতিশীলতা আসবে। একইসঙ্গে পার্বত্য অঞ্চল আরও সমৃদ্ধ হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রামগড় সীমান্ত অংশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রামগড় স্থলবন্দর চালু হওয়ার পর বাণিজ্যের নতুন মাত্রা যোগ করবে।
আইসিপি পরিদর্শন শেষে বিজিবির মহাপরিচালক বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেন।
পরে তিনি রামগড় সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির সূতিকাগারে স্মৃতি বিজড়িত মনুমেন্ট পরিদর্শন করেন এবং রামগড় রাইফেলসের অভিবাদন গ্রহণ করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বিজিবি সদস্যদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এরপর বিজিবির মহাপরিচালক বিজিবি রামগড় জোনের পক্ষ থেকে এলাকার দুস্থ-অসহায় কয়েকশ’ পরিবারের মধ্যে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, দক্ষিণ পূর্ব রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমান, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস এম আবুল এহসান, রামগড় জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেনসহ গুইমারা সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।