সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এমপি বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ত্যাগ সর্বোচ্চ । তিনি ও তাঁর পরিবারের যে আত্মত্যাগ, সেই ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতেই হবে। তুলে ধরতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে।
তিনি আজ শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এম.পি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন ,শহীদ জননী জাহানারা ইমামের লেখনি অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে যাতক দালাল নির্মূল কমিটির যখন আন্দোলন চলছিল, যুদ্ধাপরাধীদের আস্ফালনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধের চেতনা পুন:প্রতিষ্ঠার জন্য যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি জাহানারা ইমাম। জাতির পক্ষ থেকে এই মহান আত্মত্যাগের জন্য জাহানারা ইমামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেনা জাহানারা ইমামের কতটুকু বলিষ্ঠ ভূমিকা দেশের জন্য।দেশের মানুষের জন্যই সম্মিলিতভাবে এ দায়িত্ব নিতে হবে। তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জ্ঞাপনের একমাত্র পথ হতে পারে এটিই।শহীদ জননীর ইতিহাস যেন দেশের বাইরেও ছড়িয়ে দেয়া যায় সে লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তরুণ প্রজন্মকে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অভিমত ব্যক্ত করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম-এর পুত্র সাইফ ইমাম জামি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ। এছাড়াও সংসদ সদস্য বৃন্দ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।