বিংশ শতাব্দীর চল্লিশ দশকে যদি বঙ্গবন্ধু হতেন এ দেশের জাতীয় নেতা,
১৯৪৭ সালেই বিনা রক্তপাতে তাঁরই নেতৃত্বে আমরা পেতাম এদেশের স্বাধীনতা।
পশ্চিমা ঐ খান সেনাদের দু’যুগের নির্যাতন আমাদেরকে ভোগ করতে হতো না,
আমাদের স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন হতো না।
স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উৎসর্গ করতে হতো না ত্রিশ লক্ষ বাঙালির জীবন,
আমাদের স্বাধীনতার জন্য দু’লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতকে দিতে হতো না বিসর্জন।
এ উৎসর্গ ও বিসর্জনকে সম্ভব করেছে ১৯৭১ সালের তাঁরই ৭ই মার্চের ভাষণ,
তাইতো সাড়ে সাত কোটি বাঙালির এ জাতি তাঁকে দিয়েছেন জাতির পিতার আসন।
১৯৫৪ এর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিজয় অর্জন করেছে তাঁরই যোগ্যতার গুণে,
১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের চরম পতন হয়েছে তাঁরই গণঅভ্যুত্থানে।
১৯৭০ এর নির্বাচনের পরাজয়ে ভুট্টো-ইয়াহিয়া খান পালিয়েছে পশ্চিম পাকিস্তান,
বাঙালি জাতির সাথে যুদ্ধ করে পরাজয় বরণ করেছে নিয়াজি আর টিক্কা খান।
নিয়াজির স্বাক্ষরে ৯৩ হাজার পাকসেনা যৌথবাহিনীর কাছে করেছে আত্মসমর্পণ,
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা করেছি বিজয় অর্জন।
পশ্চিমা ঐ খানসেনারা শত নির্যাতন করেও তাঁকে দাবিয়ে রাখতে পারেননি,
তিনি বাঙালি এ জাতির মুক্তির জন্য তিনি ফাঁসির মঞ্চে যেতেও ভয় করেননি।
সাড়ে সাত কোটি বাঙালি জাতির জন্য তিনি রেখে গেছেন দু’টি রত্ন,
যাদের নেতৃত্বে আজও টিকে আছে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র।
শেরেবাংলা একদিন বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন, “আমি যা পারিনি তুমি তা পারবে”
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি সারা বিশ্ববাসীকে তা’ দেখিয়ে দিলেন বীর-দর্পে।।