চিকিৎসা করাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে নিহত ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা তিনজনই বাংলাদেশি।
বুধবার (২২ মে) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ধানমন্ডির বাসভবনে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন পুলিশ ও ডিবি প্রধান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় পুলিশ আমাদের নিশ্চিত করেছে এমপি আনার খুন হয়েছেন। তবে তদন্ত শেষে সবকিছু জানাবে বলে জানিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এমপি আনারের হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা তিনজনই বাংলাদেশি।
তিনি বলেন, খুনের মোটিভ এখনো জানা যায়নি। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত কিছু বলতে পারছে না ভারতীয় পুলিশ।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়ে নিখোঁজের ছয়দিন পর কলকাতার একটি এলাকা থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কর্মকর্তারা কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
সীমান্ত এলাকা ঝিনাইদহ-৪ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি) ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন আনোয়ারুল আজীম আনার।
১৯ মে আনোয়ারুল আজীমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। কিন্তু এরপর ১৬ মে তার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ১৯ মে ডিবি কার্যালয়েও যান আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। সেদিন তিনি বলেছিলেন, তিনদিন ধরে আমার বাবাকে ফোনে পাচ্ছি না। তার মোবাইল ফোনটি মাঝে মাঝে খোলা পাই আবার মাঝে মাঝে বন্ধ পাই। পরে এই বিষয়ে আমি ডিবি প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে বলেছেন বিষয়টি তিনি দেখছেন। পরে আজকে আমি ওনার কার্যালয়ে আসি। তিনি আমাদের সহযোগিতা করছেন। বাবাকে ফোনে না পাওয়ার কারণেই মূলত আমি ডিবি কার্যালয়ে এসেছি। আমি নিজেও ভারতে দ্রুত সময়ের মধ্যে যাব।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গত ১৬ মে সকালের দিকে এমপি আনারের অবস্থান ছিল বিহারের মোজাফ্ফরাবাদ। সেখান থেকে পিএস রউফ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ফোনে কল করা হয়। তবে ওই ফোন কল প্রকৃত পক্ষে এমপি আনার করেছিলেন কি না তা নিয়ে নতুন করে ধূম্রজাল ছিল।
আনোয়ারুল আজীম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।