শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাত বা সংঘর্ষ হয় এমন কোনো প‌রি‌স্থি‌তিতে যাবে না আওয়ামী লীগ। দল‌টি রোববার (৪ আগস্ট) ঢাকাসহ সব মহানগরে জমায়েতের পাশাপা‌শি সারা দেশের ইউ‌নিয়ন পর্যায়ে জমায়েত করবে।

শ‌নিবার (৩ আগস্ট) আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসতে চান। কোনো সংঘাত চাই না। সংঘাত হতে পারে, পক্ষ-বিপক্ষ হতে পারে এ ধরনের কর্মসূচি আমরা সংঘাত এড়াতে এড়িয়ে চলেছি। আমরা কোনো প্রকার সংঘাতে জড়াতে চাই না। সে কারণে আমরা সংঘাত হতে পারে এ ধরনের প্রোগ্রাম এড়িয়ে চলেছি।

সাধারণ সম্পাদক জানান, গতকাল এবং আজকে আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। আমরা আগামীকাল নতুন করে প্রোগ্রাম দিয়েছি। ঢাকা সিটির সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমায়েত এবং বাংলাদেশের সব জেলায় ও মহানগরে জমায়েত। আর আগামী ৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমরা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিল করব।

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশবিরোধী একটা মহল চলমান সংকট জিইয়ে রেখে ফায়দা লুটার তৎপরতা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে পরিস্কার হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেহাত হয়ে গেছে। চলে গেছে তৃতীয় পক্ষের হাতে। যারা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। অশুভ শক্তির তৎপরতা আমরা সফল হতে দিতে পারি না।

তিনি বলেন, অবুঝ শিশুরা কোনো রাজনীতি করে না। তাদের হত্যা করে, তাজা প্রাণ ঝরিয়ে আমাদের কী লাভ? লাভ তাদের যারা এই শিশুদের কাছ থেকে ফায়দা লুটতে চায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে যারা দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদের প্রতিহত করতে আমরা যুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সবাই কাজ করব।

ইউনিসেফ ৩২ শিশু মারা যাওয়ার যে পরিসংখ্যান দিয়েছে সেই প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা ইউনিসেফকে অনুরোধ করব ৩২ জন শিশুর হত্যার কথা তারা বলেছে। তাদের নাম ঠিকানাসহ আমরা জানতে চাই। পেলে ব্যবস্থা নেব। সত্য খুঁজে বের করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ধৈর্য ও সংযমের মাধ্যমে পরিস্থতি মোকাবিলা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্ত কমিশন বিচার বিভাগীয় গঠন করেছে। ইতোমধ্যে কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে জাতিসংঘ যদি যুক্ত হয় আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।