কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিটের শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ১৯ আগস্ট মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া এ রিট করেন। রিটের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে তিনি শুনানি করবেন।
তিনি জানান, আজকে রাষ্ট্রপক্ষ এক সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করে। এরপর আদালত বৃহস্পতিবার দিন রেখেছেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিট দায়েরের পর আরিফুর রহমান জানান, আবেদনে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর করতে, ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল, বিদেশে পাচারকৃত ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনা, যেসব প্রতিষ্ঠানে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সেগুলোর পরিবর্তন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সব কর্মকর্তা, চলমান প্রশাসনের সব বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনও-সহ বাংলাদেশ পুলিশের সব বিভাগীয় কমিশনার, এসপি ও ওসি সাহেবকে বদলি করে বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।