২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যক্তির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে, দলের সঙ্গে নয়। নির্বাচন মূলত একদলীয় হওয়ার কারণ কারচুপি বা সরকারিভাবে প্রভাবিত করার প্রয়োজনও ছিল না বলে স্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের সামনে পদত্যাগের ঘোষণার আগে এসব কথা বলেন তিনি।
২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পেয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দিলেও মাঝপথেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হলো তাদের। কাজী হাবিবুল আউয়ালের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশিদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিসুর রহমানও পদত্যাগ করেছেন।
এই কমিশনের অধীনে সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগ টানা চারবারের মতো জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে এক মাস আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কর্মকর্তারা পদত্যাগ করছেন নয়তো তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ১৯৭৩ থেকে হওয়া অতীতের অন্যান্য সকল নির্বাচন ছাড়াও ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের বিতর্কিত বা সন্দিগ্ধ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে কমিশন পরবর্তী সকল নির্বাচনগুলো সতর্কতার সাথে আয়োজনের চেষ্টা করেছে। জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে দিনের বেলাং ব্যালটেপেপার প্রেরণ, কতিপয় উপনির্বাচনে ভিডিও পর্যবেক্ষণ, ইভিএম ব্যবহার, দেশের সকল জেলায় একই দিনে তবে প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক সীমানার মধ্যে মাঝে ৩/৫ দিন বিরতি দিয়ে ৫/৬টি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপকভাবে রদবদল, ইত্যাদি গৃহীত ব্যবস্থা নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সৃশৃঙ্খল করতে অনেকটাই সহায়ক হয়েছিল। নির্বাচন মূলত একদলীয় হওয়ার কারণে কারচুপি বা সরকারিভাবে প্রভাবিত করার প্রয়োজনও ছিল না।
বিদায়ী সিইসি আরও বলেন, সম্প্রতি ভেঙে দেয়া সংসদের ২৯৯ টি আসনে নির্বাচন প্রার্থীদের মধ্যে ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হয়েছে। দলের মধ্যে নয়। ২৯৯ আসনে ১৯৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।