কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, আবার কখনো মুষলধারে বর্ষণ। গত দুদিন এভাবেই ভিজেছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল।
মাঝে মাঝে ক্ষণিক সময়ের জন্য বিরতি দিলেও একবারের জন্যও মেঘ কাটেনি আকাশে, ওঠেনি রোদও।
তবে আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মেঘ কেটে ঢাকার আকাশে উঁকি দেয় তেজি সূর্য। রোদে বাড়তে থাকে তাপমাত্রাও। দিনের শুরুটা এমন রৌদ্রোজ্জ্বল হলেও দুপুরের আগে আগেই মেঘ কালো করে আবারো নামে বৃষ্টি। প্রায় ঘণ্টাখানেক মুষলধারে বৃষ্টি ঝরে।
কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ নগরবাসীর জীবনে স্বস্তি নিয়ে আসে এবারের বর্ষণ। গত দুদিন বৃষ্টিতে ভিজেছে রাজধানী। বৃহস্পতিবার রাতও রাজধানীর অনেক জায়গায় বৃষ্টি ঝরে। টানা বৃষ্টি গরমে স্বস্তি দিলেও দুর্ভোগ নিয়ে আসে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে।
শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় তেমন কর্মব্যস্ততা ছিল না নগরবাসীর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া খুব বেশি মানুষ সড়কে নামেননি। এদিন রিকশাচালক ও রাইড শেয়ার করা মোটরসাইকেল চালকেরা পড়েন যাত্রী সংকটে। একটু ছাউনি পেলেই লোকজনকে ভিড় করতে দেখা যায় বৃষ্টি থেকে বাঁচতে। বৃষ্টিতে ভ্রাম্যমাণ দোকানিদেরও পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
গত দুদিনের বৃষ্টির পর সকালটা রৌদ্রোজ্জ্বল দেখে অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে আবার ভিজে ঘরে ফেরেন। সপ্তাহের অন্যান্য দিন সুযোগ না মেলায় অনেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই এদিন বাজারে ছুটে যান কেনাকাটা সারতে। অনেকে বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা মাথায় জুমার নামাজ আদায় করতে বের হন।
দুপুরের ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। এতে পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালক, যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। দুপুরের পর বৃষ্টি কমে এলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্নই ছিল
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এর প্রভাবে রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।