হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব রোববার (১৩ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে। মর্ত্যলোক ছেড়ে বিদায় নেবেন মা।
অশ্রুসজল চোখে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিসর্জন দেবেন প্রতিমা। ভাঙবে মিলনমেলা।
বিজয়া দশমীতে সারা দেশে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধামতো সময়ে বিজয়ার শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। সর্বত্র বিসর্জন শেষে ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ করবেন।
বিসর্জনের উদ্দেশে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গন থেকে কেন্দ্রীয় বিজয়া শোভাযাত্রা বের হবে বিকেল ৪টায়। এর আগে রাজধানীর ২৫২টি পূজামণ্ডপের অধিকাংশ এসে জমা হবে পলাশী মোড়ে।
সেখান থেকে সম্মিলিত বাদ্য-বাজনা, মন্ত্রোচ্চারণ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিজয়ার শোভাযাত্রা। এর পর সদরঘাটের ওয়াইজঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীতে একে একে বিসর্জন দেওয়া হবে প্রতিমা।
এর আগে তিথির কারণে শনিবার (১২ অক্টোবর) একইদিনে মহানবমী ও বিজয়া দশমীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ৬টা ১২ মিনিটের মধ্যে প্রথমে মহানবমীর কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা হয়।
বিজয়া দশমী উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটি। সংবাদপত্র বিশেষ আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
এদিকে বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সড়কে থাকবে ট্রাফিক পুলিশ। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট দল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, পলাশী মোড় ও বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় তিনটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। পলাশীর মোড়, রায় সাহেব বাজার ও ওয়াইজঘাটে স্থাপন করা হয়েছে তিনটি ওয়াচ টাওয়ার।
এছাড়া ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট দল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। নির্ধারিত সময় ও রুট অনুসরণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।