যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শতাধিক কর্মচারী। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে তারা এ বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষোভকারী একজন কর্মচারী বলেন, যুগ্ম সচিবের বিচারের দাবিতে আমাদের এ অবস্থান। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এসব কর্মচারী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে হট্টগোল করেন। তারা অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. নাদিরা সুলতানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

জানা যায়, সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব ও উপসচিব পদে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারীদের নির্দিষ্ট হারে পদোন্নতি পাওয়ার কোটা রয়েছে। কিন্তু ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারীরা বিগত দিনে সেটা পরিপূর্ণভাবে পাননি।

বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে কমিটির অন্য সদস্যরা এ সমস্যা সমাধানে একমত পোষণ করে একটি প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু নাদিরা সুলতানা প্রাথমিক অবস্থায় স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানান।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন কর্মচারী ড. নাদিরা সুলতানার স্বাক্ষর আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যান। তখন নাদিরা জিয়াউরের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করলে একপর্যায়ে জিয়া অজ্ঞান হয়ে যান– এমন অভিযোগ আসে। তারপর জিয়াকে প্রথমে সচিবালয়ের ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় অবস্থিত কর্মচারী হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। যুগ্ম সচিবের ‘খারাপ আচরণের’ খবর ছড়িয়ে পড়লে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় গিয়ে ওই যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। আজও তারা বিক্ষোভ করেছেন।

উল্লেখ্য, কর্মচারীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এপিডি ওবায়দুর রহমান তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে ওই প্রতিবেদনে নাদিরা সুলতানাকে স্বাক্ষরের নির্দেশ দেন। এরপর সন্ধ্যায় নাদিরা স্বাক্ষর দেন।