ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ৫ আগস্টের পর ঢাকার বিভিন্ন থানায় অনেক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় বাদী ইচ্ছে করে অনেক আসামি করেছেন। এসব গণ-মামলায় গণ-আসামি থাকবে না।
তিনি বলেন, তদন্ত শেষে নির্দিষ্ট ঘটনায় যে সব আসামির নাম আসবে মামলায় তাদের নাম থাকবে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ‘গণমামলায় যেসব বাদী মামলা বাণিজ্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা হবে। মামলা অপকর্মে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া জুলাই-আগস্টে যেসব সাংবাদিকদের আসামি করা হয়েছে তদন্তে তারাও বাদ পড়বেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জুলাই-আগস্টে পুলিশের ভূমিকা সঠিক ছিল না। এতো লোকের মৃত্যু হওয়ার কথা না। ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।
মামলা এবং গ্রেপ্তার বাণিজ্যে কিছু পুলিশ সদস্য জড়িত স্বীকার করে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশ নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়। ভয়াবহ আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যায় অন্য পুলিশ সদস্যরা।
ঢাকা শহরে সাত শতাংশ সড়ক রয়েছে জানিয়েছে তিনি বলেন, এত কম সড়কে বিশ্বের সেরা বিশেষজ্ঞ আনলেও যানজট নিরসন করা সম্ভব নয়। তারপরও ট্র্যাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
এসময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ উপস্থিত ছিলেন, ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সহ-সভাপতি শাহীন আবদুল বারী, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক হরলাল রায় সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজী, দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ইসমাঈল হুসাইন ইমু, কল্যাণ সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজম ও শেখ কালিমউল্যাহ।