হাসিনা এদেশের মহারানি হয়ে থাকতে চেয়েছিলেন: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা এদেশের মানুষকে নির্বিঘ্নে শান্তিতে থাকতে দেননি। তিনি জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আজীবন এদেশের সম্রাজ্ঞী মহারানি হয়ে থাকতে চেয়েছিলেন।এজন্য তিনি তার মনের মতো করে পুলিশ, র‌্যাব ও আইনশৃখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাজিয়েছিলেন। জনগণ, নির্বাচন ও ভোটের দরকার তার ছিল না।

জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে তিনি নিজেই নির্ধারণ করতেন কাকে মেম্বার বানাবেন, কাকে চেয়ারম্যান বানাবেন, কাকে এমপি বানাবেন। তিনি এভাবে এদেশকে দুর্বৃত্তের দেশ, দাজ্জালের দেশ ও এক দস্যুর দেশে পরিণত করেছিলেন, বলেন রিজভী।

বহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাঠে আয়োজিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারত শেখ হাসিনার প্রিয় দেশ। তিনি বলেছিলেন, আমি ভারতকে যা দিয়েছি, চিরদিন তা মনে রাখবে। শেখ হাসিনা কি দিয়েছেন ভারতকে যে ভারত শেখ হাসিনার প্রেমে এতটা বিগলিত? শেখ হাসিনার দুটি পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেছে। তাহলে কোন পাসপোর্টের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত? অন্তর্বর্তী সরকার বিচারের জন্য হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে পাঠানোর আবেদন করলেও ভারত সরকার তাকে না পাঠিয়ে উল্টো ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে পুরস্কৃত করেছে।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে ভয় ও আতঙ্কের নগরে পরিণত করেছিলেন। বিগত ১৭ বছর বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরিবারের সঙ্গে নিশ্চিন্ত বসবাস করতে পারেননি। নেতাকর্মীরা সব সময় আতঙ্কে থাকতেন, কখন আবার স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পালিত পুলিশ বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করবে বা মামলা দেবে।

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় নেতা ছিলেন এটা সত্য। তবে তিনি যুদ্ধের পর দেশে গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, সব রাজনৈতিক দল বন্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। শেখ হাসিনা তার বাবার পথেই হাঁটছিলেন। তিনি বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করছিলেন। এত অপরাধ করেও শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে টিকতে পারলেন না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সমিক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খদকার আবু আশফাক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দিন গিয়াস, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, ঢাকা জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হাসেম বেপারী, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম নিরব, দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মেছের, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজসহ অনেকে।